
জেন্ডারভিত্তিক সহিংসতার বিরুদ্ধে পক্ষকালব্যপী প্রচরাভিযান
সকল প্রকার জেন্ডাভিত্তির সহিংসতা বন্ধে ১৬ দিনব্যপী বৈশ্বিক প্রচারাভিযান তৈরিপোশাক খাতের জন্য বিশেষ তাৎপর্য বহন করে কারণ এই খাতে কম-বেশি ৬০ শতাংশ শ্রমিক নারী। প্রচলিত সমাজব্যবস্থায় পুরুষের চেয়ে নারীর হয়রানির শিকার হওয়ার ঝুঁকি বেশি। অন্যান্য বছরের মতো এবারও ইটিআই বাংলাদেশ এই প্রচারাভিযান পালন করেছে। এবার এই প্রচারাভিযান পরিচালনায় ইটিআই ইন্ডাস্ট্রিঅল বাংলাদেশ কাউন্সিলের (আইবিসি) উদ্যোগগুলোকেও সহায়তা করেছে। স্টিচ কনসোর্টিয়ামের অন্যান্য সদস্য সংস্থা, মনডিয়াল এফএনভি এবং ফেয়ার ওয়্যার ফাউন্ডেশনও এই উদ্যোগগুলোতে পাশে ছিলো।
এ উপলক্ষে ইটিআই এবং ফেয়ার ওয়্যার ফাউন্ডেশনের সদস্য ব্রান্ডসমূহের সাপ্লাইয়ার ফ্যাক্টরিগুলোকে নিয়ে একটি ওয়েবিনার আয়োজন করা হয় যেখানে ফ্যাক্টরিগুলো তাদের পূর্ববর্তী বছরসমূহে এই কর্মসূচি পালনের অভিজ্ঞতা বর্ণনা করে এবং এ বছরের সম্ভাব্য পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা করে। ইটিআই এবং ফেয়ার ওয়্যার ফাউন্ডেশনও তাদের পরিকল্পনা উপস্থাপন করে। ১০৩টি ফ্যাক্টরি ও অন্যান্য বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে ১৯৭ জন অংশগ্রহণকারী এই ওয়েবিনারে অংশগ্রহণ করেন।
মনডিয়াল এফএনভি এর সাথে ইটিআই বাংলাদেশ যৌথভাবে আইবিসি নারী কমিটির সাথে একটি কর্মশালার আয়োজন করে। আয়োজনে আইবিসি নারী কমিটির ১৪ জন নেত্রী এবং আইবিসির সাধারণ সম্পাদক অংশগ্রহণ করেন। এই কর্মশালায় ক্যাম্পেইনটি উপলক্ষে আইবিসির কর্মপরিকল্পনা এবং তাতে ইটিআই ও এফএনভির সম্ভাব্য সহায়তার ক্ষেত্র নিয়ে আলোচনা হয়। এর ভিত্তিতে তারা দুটি কর্মসূচি পালন করেন:
ক. আইএলও কনভেনশন-১৯০ র্যাটিফিকেশন ও কর্মক্ষেত্রে জেন্ডার ভিত্তিক সহিংসতা বন্ধসহ আরো কিছু দাবী-দাওয়া তুলে ধরে একটি সংবাদ সম্মেলন করা হয়। আইবিসির নেতৃবৃন্দ সংবাদ সম্মেলনে এসব দাবী তুলে ধরেন। সেখানে সাংবাদিকরা ছাড়াও বিপুলসংখ্যক শ্রমিক অংশগ্রহণ করেন যাদের যাদের অধিকাংশই নারী।
খ. গণসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে একটি ভ্রাম্যমান র্যালী আয়োজন করা হয়। এই ট্রাক র্যালীতে আইবিসি নারী কমিটির নেতৃত্বে শ্রমিকরা জেন্ডারভিত্তিক সহিংসতা বন্ধে ব্যানার, ফেস্টুন প্রদর্শন করেন, সচেতনামূলক গান বাজানো হয় এবং বক্তৃতা দেয়া হয়। ট্রাক র্যালীটি রাজপথে ও বিভিন্ন ফ্যাক্টরি গেটে তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করে।
- ??????