জেন্ডার সংবেদনশীল কর্মস্থল কর্মসূচির ফলাফল ও পরবর্তী করণীয় নিয়ে কনসালটেশন ওয়ার্কশপ
ইটিআই পরিচালিত জেন্ডার সংবেদনশীল কর্মস্থল কর্মসূচির সাথে সংশ্লিষ্টদেরকে নিয়ে প্রকল্পের ফলাফল ও পরবর্তী করণীয় নিয়ে কনসালটেশন ওয়ার্কশপ অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে ফ্যাক্টরি, ব্রান্ড ও ইটিআই-এর পক্ষ থেকে ৫৪ জন প্রতিনিধি অংশগ্রহণ করেন।
কর্মশালার প্রথম অধিবেশনে অংশগ্রহণকারীরা অংশগ্রহণমূলক প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে এই প্রকল্পের ফলাফলগুলি চিহ্নিত করেন এবং সেগুলোর মধ্যে অগ্রাধিকার নির্ধারণ করেন। তারা যেসব বিষয় উল্লেখ করেন তার মধ্যে রয়েছে নারীর প্রতিনিধিত্ব ও নেতৃত্ব বৃদ্ধি, জেন্ডার সমতা ও যৌনহয়রানি বিষয়ে পরিষ্কার ধারণা এবং আচরণ পরিবর্তন, যৌনহয়রানি বিষয়ে অভিযোগ প্রদানের ব্যবস্থা, যৌনহয়রানি বিষয়ক অভিযোগগ্রহণকারী কমিটি গঠন ও কার্যকরকরণ ইত্যাদি।
এরপর ইটিআইয়ের পক্ষ থেকে প্রকল্পের সমাপনী মূল্যায়নের ফলাফল তুলে ধরা হয়।
সবশেষে অংশগ্রহণকারীরা প্রকল্পের ফলাফলকে ধরে রাখা ও অর্জনকে স্থায়িত্বশীল করার জন্য করণীয় বিষয়ে নিজেদের মতামত তুলে ধরেন। প্রশিক্ষণগুলি চালু রাখা, আচরণ পরিবর্তনের উদ্দেশ্যে পরিচালিত যোগাযোগ কার্যক্রম চালু রাখা, প্রশিক্ষণসমূহকে ছোট ছোট খন্ডে ভাগ করা (বাইট-সাইজ), মাস্টার ট্রেইনারদের জন্য রিফ্রেশার ট্রেনিং-এর ব্যবস্থা করা এবং যৌনহয়রানি অভিযোগ গ্রহণকারী কমিটির নিয়মিত সভা ও কার্যক্রম পরিচালনার উপর তারা গুরুত্ব দেন।
কর্মশালার শেষে প্রকল্পে অংশগ্রহণকারী ফ্যাক্টরীগুলোর মধ্যে প্রকল্প বাস্তবায়নের স্বীকৃতি-সার্টিফিকেট বিতরণ করা হয়।
উল্লেখ্য, বছরব্যপী পরিচালিত প্রকল্পের উল্লেখযোগ্য কার্যক্রমগুলো হচ্ছে: কারখানার ব্যবস্থাপকদের সাথে কর্মশালা, সুপারভাইজার, যৌনহয়রানি অভিযোগগ্রহণকারী কমিটি (এসএইচসিসি), পিসি/ট্রেড ইউনিয়ন-এর সদস্যদের জন্য প্রশিক্ষণ, সাধারণ শ্রমিক-কর্মচারীদের জন্য বিভিন্ন সচেতনতামূলক কার্যক্রম পরিচালনা, ইত্যাদি। এছাড়া, ফ্যাক্টরিতে একটি মাস্টার ট্রেইনার দল তৈরি করা হয়েছে এবং প্রয়োজনীয় শিখন উপকরণ (ফ্লিপচার্ট) প্রদান করা হয়েছে। যৌনহয়রানি অভিযোগগ্রহণকারী কমিটি (এসএইচসিসি)’র সদস্যদের নিয়ে একটি অনলাইনভিত্তিক প্লাটফর্ম তৈরি করা হয়েছে। এছাড়া সময়ে সময়ে কারখানার ব্যবস্থাপকদের সাথে নানা এডভোকেসি ও পরামর্শমূলক সভার আয়োজন করা হয়েছে।