ইটিআই বাংলাদেশ ইটিআই নরওয়ের সাথে যৌথভাবে “তৈরিপোষাকখাতের শ্রমিকদের জন্য শোভন কর্মপরিবেশ, জেন্ডার সমতা এবং জলবায়ু পরিবর্তন সহনশীলতা” শিরোনামে একটি প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। এতে অর্থায়ন করছে নরওয়েজিয়ান এজেন্সি ফর ডেভেলপমেন্ট কো-অপারেশন (নোরাড)। প্রকল্পটির মেয়াদ ২০২১ সাল থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত।

২০১৪ সাল থেকে ইটিআই বাংলাদেশে শ্রমিক ও ম্যানেজমেন্টের মধ্যে সংলাপকে এগিয়ে নিতে সামাজিক সংলাপ কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে। এর অংশ হিসেবে শ্রমিকরা যাতে তাদের প্রয়োজনগুলি তুলে ধরতে পারে সেজন্যে তাদের প্রয়োজনগুলি তুলে ধরতে পারে সেজন্য সক্ষমতা তৈরি করছে। চলমান প্রকল্পটি সেই কার্যক্রমের ধারাবাহিতায় বাস্তবায়িত হচ্ছে। এতে সুশীল সমাজের প্রতিনিধিত্ব জোরদার করা এবং শ্রমিকের অধিকার বাস্তবায়নে গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে। প্রকল্পে জেন্ডার এবং জলবায়ু পরিবর্তনকে ক্রসকাটিং ইস্যু হিসেবে নেয়া হয়েছে।

জেন্ডার সংবেদনশীল কর্মপরিবেশ

ইটিআই-এর এই কর্মসূচির সামগ্রিক উদ্দেশ্য হচ্ছে- তৈরি পোষাককারখানায় একটি জেন্ডার সংবেদনশীল কর্মপরিবেশ তৈরিতে ভূমিকা রাখা- যেখানে প্রত্যাশিত ও সুনির্দিষ্ট আচরণবিধির আলোকে প্রত্যেকের মানবিক মর্যাদা ও সম্মান নিশ্চিত হবে। ফলে একটি সুস্থ শিল্পসম্পর্ক গড়ে উঠবে, যা উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি ও প্রবৃদ্ধিকে টেকসই করার ক্ষেত্রে কার্যকর ভূমিকা রাখবে।

উদ্দেশ্য:
• নারী শ্রমিক এবং নারীকর্মীদের ক্ষমতায়ন
• কারখানার ব্যবস্থাপনা ও বিভিন্ন কমিটিতে নারীদের অংশগ্রহণ ও প্রতিনিধিত্ব বাড়ানো এবং নারী নেতৃত্ব তৈরি
• কারখানার ব্যবস্থাপক, সুপারভাইজার, বিভিন্ন কমিটির সদস্য ও শ্রমিকদের মধ্যে জেন্ডার সংবেদনশীল কর্মপরিবেশ সম্পর্কে জ্ঞান বৃদ্ধি ও সচেতনতা তৈরি
• কর্মস্থলে লিঙ্গভিত্তিক সহিংসতা ও যৌনহয়রানি প্রতিরোধে একটি কার্যকর ব্যবস্থা গড়ে তোলার ক্ষেত্রে কারখানার সক্ষমতা তৈরি করা।

গ্রীন সোশ্যাল ডায়লগ: জলবায়ু পরিবর্তন সংবেদনশীল সামাজিক সংলাপ

তৈরিপোশষাক খাতের শ্রমিকদের উপর জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবেলায় কাজ করার জন্য শ্রমিকদের এবং সুশীল সমাজ প্রতিনিধিদের দক্ষতা উন্নয়ন এই কর্মসূচির উদ্দেশ্য। সামাজিক সংলাপের মাধ্যমে কর্মক্ষেত্রে জলবায়ু পরিবর্তন সংশ্লিষ্ট ইস্যু চিহ্নিতকরণ এবং ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য চিহ্নিত ইস্যুসমূহের মধ্যে অগ্রাধিকারকরণের জন্য ফ্যাক্টরি ম্যানেজমেন্ট, শ্রমিক ও শ্রমিক প্রতিনিধিদের দক্ষতা উন্নয়ন এই কর্মসূচির উদ্দেশ্য। একইসাথে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধি করবে এবং ফ্যাক্টরির সামাজিক সংলাপের সাথে সেটির সমন্বয়/ সংযোগ ঘটাবে।

২০২২ ও ২০২৩ সালে কর্মসূচিটি বাস্তবায়িত হবে। দশটি ফ্যাক্টরিতে চাহিদা নিরূপণের কাজ চলছে। চাহিদা নিরূপণ শেষে পাঁচটি ফ্যাক্টরিতে কার্যক্রমটি পরিচালিত হবে। এটি একটি পাইলট প্রজেক্ট। এর থেকে অর্জিত শিক্ষণসমূহ স্টেকহোল্ডার ডায়লগে প্রচার/ উপস্থাপন করা হবে, টুলস এবং রিসোর্স ডেভেলপমেন্টে ব্যাবহার করা হবে এবং কর্মসূচি বাস্তবায়নে ব্যাবহার করা হবে।